টিএমএসএস এর আয়োজনে বগুড়ায় বউদ উৎসবে হাজারো মানুষের ঢল
বউদ (মাছ ধরা) উৎসব কে কেন্দ্র করে গত ২৪.০৩.১৮ ইং বগুড়ার ঠেঙ্গামারায় ঢল নেমেছিল হাজারো উৎসব মুখর মানুষের। করতোয়া নদী ও নদী সংলগ্ন জলাশয়ে টিএমএসএস এর ব্যবস্থাপনায় সংরক্ষিত মৎস্য অভয়াশ্রম সর্ব সাধারণের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়া হয়।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সূর্যের আলো ফোটার আগেই ঠেঙ্গামারা,নওদাপাড়া,বালাপাড়া এলাকায় বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে মৎস্য প্রেমিরা আসতে থাকে। দূরদুরান্ত থেকে তারা বাস ভাড়া করে,খোলা ট্রাকে,দেশীয় যানবাহনে করে মাইক বাজিয়ে নদী তীরে আসতে থাকে। বগুড়া, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মৎস্য প্রেমিরা আনন্দ মুখর পরিবেশে বউদ উৎযাপনের মাধ্যমে মৎস্য আহরণ করে। টিএমএসএস এর ব্যবস্থাপনায় বউদ উৎসবে যোগ দেওয়া মানুষের গাড়ীতে মম ইন এক্স্রটেনশন পার্ক এলাকার নির্ধারিত গাড়ি পার্কিং এলাকা পূর্ন হয়ে যায়। হাজার হাজার মানুষ নদীতে নেমে পলো,জাল,পেলি জাল,পাঁচা,বের জাল দিয়ে যে যার মত করে বউদ উৎসবে মাছ শিকার করে। তাদের জালে ধরা পড়ে বড় আকারের রুই, কাতলা, মৃগেল, বোয়ালসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ। তবে কোথাও কোথাও নদীর পানির গভীরতা জনিত কারনে মাছ ধরা বিপদজনক হওয়ায় কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করে।
বউদ উৎসবে আসা গাইবান্ধার আফসার আলী (৫২) বলেন- “হামরা আনন্দ করছি, অনেকদিন এমন সুযোগ ম্যালেনি, হামরা সুযোগ প্যালে আবার আসমু”। তিনি সহ তার এলাকার সবাই মিলে একটি ট্রাক ভাড়া করে এসেছিলেন বউদ উৎসবে। খালি হাতে কাউকে ফিরতে হয়নি।
এ বিষয়ে টিএমএসএস নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপিকা ড. হোসনে আরা বেগম বলেন, মানুষের মধ্যে পারস্পরিক আন্তরিকতা বৃদ্ধি ও লোকজ সংস্কৃতি ধরে রাখার লক্ষ্যে বউদ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতি বছর এই উৎসব চলবে। এমন আয়োজনসহ মেলা,খেলাধুলা,বিভিন্ন গ্রামীণ উৎসব মানুষকে জঙ্গীবাদ চেতনা থেকে দুরে রাখবে।
বার্তা প্রেরকঃ পিআরপি বিভাগ, টিএমএসএস ফাউন্ডেশন অফিস, ঠেঙ্গামারা,বগুড়া।