আন্তর্জাতিক মাদক দিবস উপলক্ষে জাতীয় সম্মেলনে টিএমএসএস এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপিকা ড. হোসনে-আরা বেগমের বক্তব্য
মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের জাতীয় সম্মেলন রবিবার, তাং- ২৮.০৬.২২ইং ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এম.পি। দিবসটিকে বণার্ঢ্য করার জন্য বহুমুখী সচেতনতামূলক আয়োজন ছিল।
সম্মেলনে মাদক বিরোধী তৎপরতার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ছাত্র-ছাত্রী এবং ব্যক্তিত্বকে স্বীকৃত ও পুরস্কৃত করা হয়। সম্মেলনে অধ্যাপিকা ড. হোসনে-আরা বেগম তাঁর বক্তব্যে বলেন যে, মাদকদ্রব্য ছড়িয়ে পড়ে ডিমান্ড রিডাকশন, সাপ্লাই রিডাকশন, হার্ম রিডাকশন এর মাধ্যমে। ডিমান্ড এর জন্ম হয় অভাব থেকে, অভাবের আধিক্য হয় অত্যাভিলাষ, অধিক চাওয়া-পাওয়া, অসম্ভবকে পেতে চাওয়া এবং গণভাবে পাঁচটি মৌলিক চাহিদার অভাব সকল প্রকার অভাব অপূরণে হতাশার জন্ম নেয়। হতাশা লাঘব করার জন্য পুলকিতভাবেই হোক আর পরিকল্পিতভাবেই হোক মানুষ বিশেষ করে যুব সমাজ মাদকের দিকে অগ্রসর হয়। এক সময় এই মাদকই মাদকসেবীদেরকে বশীভূত করে ফেলে। তারাই হচ্ছে এ্যাডিক্টেড। এ্যাডিক্টেড ব্যক্তির ক্ষতি লাঘবের জন্য অধিদপ্তর ব্যাপক কাজ করে চলছে। দুঃখের বিষয় বাংলাদেশে মাদক উৎপাদন না হলেও চাহিদার কারণে সরবরাহ বেশী হচ্ছে। সরবরাহ ঠেকানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সর্বসাধারণকে সমন্বিত ভূমিকা রাখতে হবে।
মানুষের স্বাভাবিক চাহিদা এবং অস্বাভাবিক চাহিদা এই সবকিছুর উৎস কর্মসংস্থান হীনতা, যা দূর করণের জন্য ক্ষুদ্র এবং মাঝারী উদ্যোক্তাদেরকে নীতি সহায়তা, উপাদান সহায়তা সরকারের দিতে হবে। আগামী বাজেটে তার প্রতিফলন থাকতে হবে।